সম্পত্তি আদায়ের লোভে বৃদ্ধা মা কে মার ছেলের
প্রতিনিধি সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান :-
সম্পত্তি আদায়ের লোভে বৃদ্ধা মা কে মার। কোর্টের অনুমতি থাকার পরেও মিলছে না টাকা অভিযোগ বৃদ্ধা।অবশেষে ছেলে বৌমা ও নাতির নামে অভিযোগ দায়ের পুলিশ সুপারের কাছে।
বৃদ্ধা মায়ের ভরন পোষণের জন্য মাসে ১৫ শো টাকা করে দেওয়ার অনুমতি দেয় কলকাতা হাই কোর্টে।সেই টাকা দেওয়াতো দূরস্থ ,বৃদ্ধা মা কে ঘরছাড়া করতে উঠে পড়ে লেগেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার শিংদরর্জা ওলাইচন্ডীতলা এলাকার বাসিন্দা মলয় সেন, স্ত্রী শ্যামলী সেন, ছেলে মহেন্দ্র সেন।বুধবার এদের প্রত্যেকের নামে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধা আরতি সেন।
আরতি দেবী বলেন ভরন পোষণের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে নির্দেশ দেয় মাসে ১৫শো টাকা করে দিতে। সেই টাকা দিচ্ছে না মেজো ছেলে মলয় সেন উপরন্তু আমার কলের জল বন্ধ করে দিয়েছে বাথরুমের দরজায় তালা মেরে রেখেছে। ছাদের দর্জা বন্ধ করে দিয়েছে।এক কুটুরি ঘরের মধ্যে অবিবাহিত এক মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন বৃদ্ধা আরতি সেন।
পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগে আরতি দেবী জানিয়েছেন মঙ্গলবার ছোটো ছেলে বাড়িতে না থাকায় মেজ ছেলে মলয় সেন, স্ত্রী শ্যামলী সেন, ছেলে মহেন্দ্র সেন।আমাকে এবং আমার অবিবাহিত মেয়ে কেকা সেন কে মারধর করে। এবং সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। সম্পত্তি লিখে না দিলে প্রান নাশের হুমকি দেয়। এবং আরতি দেবী কে ঘর ছাড়ার জন্য প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানবিক অত্যাচার করে চলেছে মেজো ছেলের পরিবার।এমনটাই অভিযোগ করেন আরতি দেবী।
মেজো ছেলো মলয় সেন বলেন শৌচালয়ের প্যানে ছাই ফেলে দেয়। ছাদে উঠে আমাদের জামা কাপড় কেটে দেয় মা।কোর্টের রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন ওটা কোটের উকিলরা জানে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। ছোটো ছেলে মধু সেন বলেন আমি কোনোরকম ফুল বিক্রি করে এবং বন্ধুদের কাছ থেকে ধার দেনা করে মা আর বোনকে নিয়ে থাকি। প্রতিমাসে ১৫শো টাকা করে মাকে দেবার জন্য কোর্ট থেকে মেজদা মলয় সেনকে নির্দেশ দেয় সেই টাকা মেজদা মলয় সেন মাকে দিচ্ছে না।ফলে বহু কষ্টের মধ্যে আমি, মা, আর অবিবাহিত বোনকে নিয়ে কোন রকমে সংসার চালাই।
প্রাক্তন কাউন্সিলার সুশান্ত প্রামাণিক বলেন কোর্ট থেকে বৃদ্ধা মাকে মাসে ১৫শো টাকা করে দিতে বড়ো ছেলে মলয় সেন কে অর্ডার দিয়েছিলো, সেই টাকা মলয় তার মাকে দিচ্ছেন। বাবার সম্পত্তি মলয় সম্পূর্ণ নিজে কবজা করে রেখেছে বড়ো ছেলে।এই বিষয়টি নিয়ে আমরা বহু বার মেটানোর চেষ্টা করেছে বড়ো ছেলে মলয় এবং তার ছেলে মহেন্দ্র কোন কথা শুনছেনা। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কিছু করতে পারবো না বলে হাত তুলে নেন প্রাক্তন কাউন্সিলার সুশান্ত প্রামাণিক।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊