অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে মহিলার ছবি বা ভিডিয়ো তোলা নিয়ে বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
২০২৫ সালের ৭ ডিসেম্বর, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় যা ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও শালীনতার সংজ্ঞা নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কলকাতার বিধাননগর উত্তর থানায় ২০২০ সালে দায়ের হওয়া এক মামলায় অভিযুক্ত তুহিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪–সি ধারায় অভিযোগ ছিল—তিনি এক মহিলার অনুমতি ছাড়া ছবি ও ভিডিয়ো তুলেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের সিএফ ব্লকের একটি সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ থেকে। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ, ওই মহিলা কয়েকজনের সঙ্গে সেই সম্পত্তিতে প্রবেশ করেন। তুহিন বিশ্বাস সেই সময় ছবি ও ভিডিয়ো তোলেন, যা নিয়ে মহিলা থানায় অভিযোগ করেন।
পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ৩৫৪–সি ধারায় মামলা রুজু করে এবং চার্জশিট দেয়। কিন্তু অভিযোগকারী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন।
তুহিন বিশ্বাস কলকাতা হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন করেন, যা হাইকোর্ট খারিজ করে। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ:
- মহিলা কোনও গোপন বা ব্যক্তিগত কাজ করছিলেন না।
- তিনি শৌচাগারে ছিলেন না, বা এমন কোনও পরিস্থিতিতে ছিলেন না যেখানে গোপনীয়তা প্রত্যাশিত।
- ছবি বা ভিডিয়ো তোলার সময় তিনি প্রকাশ্যে ছিলেন এবং অন্যদের সঙ্গে ছিলেন।
- তাই, ৩৫৪–সি ধারায় "voyeurism" বা শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রযোজ্য নয়।
বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিং ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে জানায়, এমন অভিযোগে মামলা চালালে তা বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার এবং গুরুতর অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।
এই রায় ভবিষ্যতে অনুরূপ মামলায় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে, যেখানে "গোপনীয়তা" ও "শালীনতা"র সংজ্ঞা নির্ধারণে প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊