Indigo Crisis: সপ্তম দিনে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের সংকট, বাতিল ৫৬২ টি ফ্লাইট
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের সংকট সপ্তম দিনে গিয়ে পৌঁছেছে। সোমবারও ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্ব অব্যাহত থাকে। পাইলট ও ক্রুদের অভাবের কারণে ইন্ডিগো ৫৬২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে যাত্রীরা আটকে পড়েছেন এবং লাগেজ উদ্ধার করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। দিল্লি, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালোরসহ একাধিক বিমানবন্দরে ব্যাগ ও স্যুটকেসের স্তূপ জমে গেছে। যাত্রীদের মধ্যে অনেকের পাসপোর্ট, বাড়ির চাবি ও ওষুধের মতো জরুরি জিনিসপত্রও আটকে রয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, বাতিল হওয়া ফ্লাইটের মধ্যে দিল্লিতে ১৩৪টি ছিল। ৯,০০০ ব্যাগের মধ্যে ৪,৫০০ যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ২১ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯,৫৫,৫৯১টি টিকিট বাতিল হয়েছে এবং যাত্রীদের ৮২৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। বিকাশ বাজপেয়ীর মতো অনেকেই চার দিন ধরে লাগেজের জন্য অপেক্ষা করছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী কে. রামমোহন নাইডু রাজ্যসভায় বলেছেন, এই সংকটের জন্য ইন্ডিগো সম্পূর্ণভাবে দায়ী। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে নিরাপত্তার সাথে কোনও আপস করা হবে না এবং বিমান সংস্থাগুলিকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। নাইডু জানান, ইন্ডিগো ক্রু ও ডিউটি রোস্টার পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিট (FDTL) নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার পরও কোম্পানি সমস্যার কথা জানায়নি। DGCA ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স ও সিওও ইসিদ্রে পোরকেরাসকে তলব করতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেছেন, ভারতের বিমান পরিবহন খাতে পাঁচটি প্রধান বিমান সংস্থা থাকা জরুরি। বর্তমান চাহিদা ও সক্ষমতা বিবেচনা করে সরকার নতুন সংস্থাকে উৎসাহিত করছে। মহারাষ্ট্রের সাংসদ মিলিন্দ মুরলি দেওরা প্রস্তাব দিয়েছেন যে প্রবেশের বাধা দূর করতে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা উচিত।
৬ নভেম্বর নয়াদিল্লির IGI বিমানবন্দরে AMSS (Automatic Message Switching System) ত্রুটি দেখা দেয়, যা দ্রুত সংশোধন করা হয়। পাশাপাশি GPS স্পুফিং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊