Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

জঙ্গল সুরক্ষায় বাড়তি জোর, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ রুখতে মরাঘাট রেঞ্জে মোতায়েন মহিলা বনকর্মী বাহিনী

Moraghat Range forest security, Mahila Ban Karmi deployment, female forest guards, fuelwood collection prevention, Banarhat forest safety, Jalpaiguri Forest Division, tea garden closure impact, man-animal conflict reduction, forest protection West Bengal

জলপাইগুড়ি: জঙ্গলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং কাঠ সংগ্রহকারীদের বন্যপ্রাণীর হামলার হাত থেকে বাঁচাতে জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মরাঘাট রেঞ্জে বাড়তি সংখ্যক মহিলা বনকর্মী নিয়োগ করা হলো। চা বাগানগুলিতে পাতা তোলার কাজ বন্ধ হয়ে গেলেই স্থানীয় বাসিন্দাদের, বিশেষত মহিলাদের, জঙ্গল থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের প্রবণতা বাড়ে। এই প্রবণতা রুখতেই বিশেষ পদক্ষেপ নিল বন দপ্তর।

বন দপ্তর সূত্রে খবর, শীতকাল শুরু হওয়ার মুখে চা বাগানগুলি বন্ধ হয়ে গেলে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার বহু মানুষ জ্বালানি কাঠের জন্য জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করেন। এর ফলে একদিকে যেমন বনের ক্ষতি হয়, তেমনি বন্য জন্তুর সঙ্গে মানুষের সংঘাতের ঝুঁকিও বহুগুণ বেড়ে যায়। বিগত বছরগুলিতে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে বন্যপ্রাণীর আক্রমণে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে।

বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো সত্ত্বেও কিছু মানুষ এখনও ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে ঢুকছেন। এই অবস্থায় জঙ্গলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মরাঘাট রেঞ্জের খট্টিমারি (Khattimari) এবং তোতাপাড়া (Totapara) বিট এলাকায় বিশেষ নজরদারির জন্য এই মহিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যেহেতু কাঠ সংগ্রহের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের জঙ্গলের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়, তাই তাদের মোকাবিলা করতেই বন দপ্তর এই কৌশল নিয়েছে।

মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার চন্দন ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জানান, "চা পাতা তোলার কাজ শেষ হয়ে গেলেই জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের একটা প্রবণতা দেখা যায়। আমরা চাই না কোনোভাবেই মানুষ বন্যপ্রাণীর সংঘাতের মুখে পড়ুক এবং বনের কোনো ক্ষতি হোক। মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের জঙ্গলের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়। এই কারণে জঙ্গলের নিরাপত্তায় বাড়তি মহিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা বছর জুড়ে জঙ্গলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।"

অন্যান্য বিটগুলিতেও চলছে রুটিন টহলদারি। জঙ্গলের ভেতরে কাউকে ঢোকার চেষ্টা করতে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে চাইছে না বন দপ্তর। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কড়া নজরদারির মাধ্যমে মানুষ ও বনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code