মাধ্যমিক - উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভাঙচুর রুখতে নতুন উদ্যোগ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ দিনে পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনা নতুন নয়। প্রতি বছরই কোথাও ফ্যানের পাখার ব্লেড বেঁকিয়ে দেওয়া, টিউব লাইট ভাঙা বা বাথরুমে তছনছের ছবি খবরের শিরোনামে উঠে আসে। এই অশোভন আচরণ রুখতে ২০২৫ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে।
নির্দেশ অনুযায়ী, যে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ভাঙচুর করবে তার দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলকেই। ক্ষতিপূরণ বাবদ জরিমানা ধার্য করা হবে এবং হামলাকারী ছাত্রছাত্রীদের রেজ়াল্ট আটকে রাখা হবে। ক্ষতিপূরণ মেটানোর পরেই মার্কশিট দেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে বিভিন্ন জেলার স্কুল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। মুর্শিদাবাদের একটি বিদ্যালয়, গত বছর তাঁদের ছাত্রছাত্রীদের ভাঙচুরের জন্য ১.৫৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল। তাই এবার অভিভাবকদের কাছ থেকে আগাম ১৫০ টাকা করে জমা নেওয়া হয়েছে। ক্ষতি হলে সেই টাকা থেকে মেটানো হবে, না হলে ফেরত দেওয়া হবে।
কিছু বিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অ্যাডমিট কার্ড বিলির দিন পরীক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হবে। তবুও ভাঙচুর হলে ক্ষতিপূরণ ছাত্রছাত্রীদের থেকেই আদায় করা হবে।
আবার পর্ষদের নির্দেশে জিও–ট্যাগিং ছবির ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ ধার্য হলে আশপাশের স্কুলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের সমস্যা মেটাচ্ছেন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, পরীক্ষা শেষে ভাঙচুর রুখতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আগাম পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে জরিমানার টাকা জমা রাখা, শপথবাক্য পাঠ করানো এবং ক্ষতিপূরণ মেটানোর ব্যবস্থা—সব মিলিয়ে এবার পরীক্ষাকেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊