প্রধান আর নন! জন্ম শংসাপত্রের দায়িত্ব গেল বিএমওএইচ-এর হাতে
পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে জন্ম শংসাপত্রের জালিয়াতি রুখতে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বাক্ষরের উপর নির্ভর না করে, এবার থেকে শিশুর জন্ম সনদ ইস্যুতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ব্লক মেডিক্যাল অফিসার অফ হেলথ (BMOH)-এর অনুমোদন।
জালিয়াতি এড়াতে এবার শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্যে হাসপাতালের ডিস চার্জ সার্টিফিকেটের সঙ্গে বাবা ও মায়ের পরিচয়পত্র নেওয়া শুরু হয়েছে। যা সঠিক ঠিকানা যাচাইয়ে সাহায্য করছে। কোনও এক জনের দিলে হবে না, বাধ্যতামূলক ভাবে বাবা ও মা, দু'জনেরই আধার কার্ড বা এপিক কার্ড বা খাদ্যসাথী কার্ড প্রমাণ হিসেবে দাখিল করার নিয়ম চালু হয়েছে। নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে জন্মানো শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট শুধুমাত্র পঞ্চায়েত প্রধানের স্বাক্ষরে আর মিলবে না। ব্লক মেডিক্যাল অফিসার অফ হেলথ (BMOH)-এর অনুমোদন লাগবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েতের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একটি চক্র ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট পাইয়ে দিতে সক্রিয় বলে অভিযোগ। যা দেখিয়ে আধার কার্ড তৈরি, ভোটার তালিকায় নাম তোলা এবং জাল পাসপোর্ট তৈরি করা চলছে বলে অভিযোগ।
আর এমন ধরনের অভিযোগ সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে সরকার। তাই এবার থেকে বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যুর ক্ষেত্রে বিএমওএইচ-এর অনুমোদন বাধ্যতামূলক করল নবান্ন। যাতে গ্রামে জন্ম দেখিয়ে ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি আটকানো যায়। পঞ্চায়েত প্রধান সই করে আর জন্মের শংসাপত্র ইস্যু করতে পারবেন না।
শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যুর জন্যে আবেদন জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি সঠিক কিনা, সেটা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করবেন আশা কর্মীরা। তাঁরা রিপোর্ট জমা দেবেন বিএমওএইচ-এর কাছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিএমওএইচ জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তির পোর্টালে অনুমোদন দিলে তবেই মিলবে শংসাপত্র। এই পুরো প্রক্রিয়াটি জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তির পোর্টালে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে। যাতে কোনও রকম ভুয়ো আবেদন কিংবা অসত্য তথ্য দিয়ে শংসাপত্র ইস্যু করা না-হয়, সে জন্যে পোর্টালের নিরাপত্তাও বাড়ানো হচ্ছে।
0 تعليقات
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊